লেখক: মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি | ১৫ মার্চ ২০২০ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ও হাস্পাতালে অসংখ্য রোগীর মানবেতর জীবনযাপনে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন যাত্রা। যার প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে ও দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস সহ বিভিন্ন মহামারী আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে গজব হিসেবে দেওয়া হয় তখন, যখন মানবজাতি তার প্রভূর নাফরমানী করতে করতে সীমালঙ্ঘন করে ফেলে।
অতীতে এমন বহুজাতিকে আল্লাহতায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন শুধুমাত্র তাদের পাপাচার আর নাফরমানীর কারণে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ করেন যে,স্থলে ও জ্বলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান,যাতে তারা ফিরে আসে,(সূরা রুম,আয়াত ৪১)।
আল্লাহর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় যে আযাব গজব দেওয়া হয় তা যদিও বান্দাহর কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে তারপরও এই আযাব গজব দেওয়া হয় যেন বান্দাহ তার পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা ও কান্নাকাটি করে পূনরায় আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এর উল্টো। করোনাভাইরাসের অজুহাতে কিছু জ্ঞানপাপী পরামর্শ দিচ্ছেন ওয়াজমাহফিলে ও নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সীমিত করে নেওয়ার জন্য। এ-র কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে যে, লোকসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য।
কিন্তু ঐসকল জ্ঞানপাপীরা লোকসমাগমের প্রধান স্থান বাজারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে, স্কুল কলেজে,যানবাহনে, খেলাধুলা, অফিস আদালতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুই পরামর্শ দিচ্ছে না।এমনকি চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ও গণসংযোগ মিছিল সমাবেশে না যেতে কোনো কিছুই বলছেনা।
বলছে শুধু ওয়াজমাহফিল ও মসজিদে যাতায়াতে সীমিত করার জন্য। এ-র থেকে কি একথা প্রমাণিত হয় যে, কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তার শুধু মাত্র ওয়াজমাহফিল ও মসজিদে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সীমিত করার কথা বলা দুরভিসন্ধিমূলক?
এ-ই সকল অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের সম্পর্কে খোজখবর নেওয়া দরকার।তারা করোনাভাইরাসের অজুহাতে ইসলামী কর্মতৎপরতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ইসলামের দুশমনদের ক্রীড়নক হয়ে কাজ করছে কিনা তা ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
একমাত্র আল্লাহতায়ালাই সকল কিছুর একচ্ছত্র মালিক।রোগ,বালামসিবত, বিপদাপদ তিনি ই দেন আবার তিনি ই এসব থেকে মুক্তি দান করেন।
যেখানে আল্লাহতায়ালার কাছে বিপদাপদ থেকে মুক্তি চাওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ভাবে তাওবা এস্তেগফার ও কান্নাকাটি করার জন্য জনগণকে আহবান জানানোর কথা সেখানে আল্লাহতায়ালা দেওয়া ফরজ বিধান পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে মসজিদে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সীমিত করার কথা বলে মূলত তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য ভয়ানক আযাব গজব ডেকে আনবার কারণ হয়ে যাচ্ছে।
তাই আসুন! আমাদেরকে পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা ও কান্নাকাটি করি।
সবসময়ই অজু ও পবিত্র থাকার অভ্যাস গড়ি,যথা সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ান্তে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি। সুস্থ্য থাকার জন্য নিজে সচেতন হয় অপরকে ও সচেতন করতে উৎসাহ যোগায়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |