ইনসাফ থেকে সংগৃহীত | ০৬ জুলাই ২০১৮ | ৯:২৪ অপরাহ্ণ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী আজ এক বিবৃতিতে হাফেজ রজব তায়্যিব এরদোগান আবারো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আন্তরিক অভিন্দন ও মুবারকবাদ জানিয়েছেন। ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে, ইহুদী-খ্রিস্টান, সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর বহুমুখী ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত উপেক্ষা করে এরদোোগানকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় তুরস্কের জনগণকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, এরদোগানকে আমরা মুসলিম বিশ্বের সাহসী নেতা মনে করি। তিনি পুনঃরায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। মুসলিম বিশ্ব তাকে একজন শক্তিশালী নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখতে আগ্রহী।
তার মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের মাঝে বৃহত্তর ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, ইসলামের প্রতি সীমাহীন শক্তিশালী দরদী মনোবল তৈরী হবে বলে আশা করি। বিগত দিনে আরাকান, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে সাহসী কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। আমরা তাঁর বিজয়ে আনন্দিত।
আল্লামা বাবুনগরী তুরস্কের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কাছে আশ করেন যে, ইসলাম এবং মুসলমানদের পক্ষে, তাগুতের মুকাবিলায় আরো সাহসিকতার সাথে তিনি ভূমিকা রাখবেন।
তুরস্কে রোববার একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে এরদোয়ানের জোট। অন্যদিকে পিপলস অ্যালায়েন্সের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইনজের দল সিএইচপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩৪ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট।
পার্লামেন্ট নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এরদোয়ানের দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট। ৬০০ আসনের পার্লামেন্টে এরদোগানের দল একেপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৩ জন এমপি। জোট শরিক এমএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫০ জন। সিএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৬ জন এমপি। তাদের জোট শরিক ইয়ি পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন।
এদিকে এরদোগানের বিজয়ের খবরে রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তার সমর্থকরা। দেশ-বিদেশ থেকে আসতে শুরু করে একের পর এক অভিনন্দন বার্তা। এরইমধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা আকিঞ্চি ও বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসোভ প্রমুখ।