| ২০ মার্চ ২০১৯ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ
আমার ঘটনাও একই পর্যায়ের। ভাঙ্গা গ্লাস পূণঃরায় সংযোগিত করতে হরতে গিয়ে আমি ক্ষতবিক্ষত, অস্তমিত। আর যারা প্রতিনিয়ত গ্লাসের উপপ্রান্ত থেকে ঢিল ছুড়ে, ধ্বংস হানে, সেই তারা সুস্থ্য। দিব্যি ঘুরে বেড়ায়।
যারা আপন স্বার্থপরতা ঢেকে নিজেদের অতিদরদী প্রমানে ব্যস্ত-মহাব্যস্ত এদের খোলস একদিন প্রকাশ পাবে, জানি। তবুও অমিমাংসিত ক্ষোভ আর লালিত স্বপ্নের ক্ষত-বিক্ষত যাতনায় উদগ্রীব হয়ে থাকি।
একটা সময় ছিল এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখতাম। বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে মোহভঙ্গ হয়। স্বপ্নরা আজ ক্ষত-বিক্ষত। জগত-সংসারের মায়া আজ কলোষিত। কৈশোরের দুরন্তপনা কিবা যৌবনের কামনা-বাসনা সবই যেন এখন অতিথ ইতিহাস। যে ইতিহাসের আদি কিবা অন্ত বলে কিছুই নেই। যা আছে সবটাই উপহাস্য, ব্যাঙ্গার্থক। মাঝেমাঝে মনে হয়, ‘বেচে আছি, এই ঢের বড় পাওনা!’
আমাদের সমাজে একটা ট্যাবু আছে। বড়দের সামনে ছোটদের কথা বলতে মানা। পরামর্শ সভা, উন্নয়ন আলোচনা, জ্ঞান গভিরতা, সব কিছুতেই বড়দের সামনে ছোটদের নির্বাক হয়ে থাকতে হয়। কেউ মুখ খুললে তার ব্যক্তিত্বে গিয়ে লাগবে ‘বেয়াদব’ নামক সিলমোহর। অথবা সমাজদ্রোহী, অসামাজিক, কাণ্ডজ্ঞানহীন ইত্যাদি নামন অপ্রত্যাশিত শব্দচয়ন। এই ভ্রান্তিজনক ট্যাবুর জন্যেই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজের অসংখ্য সম্ভাব্য সোনালী ভবিষ্যত, ইতিহাস গড়ার স্বাক্ষর…
লিখক,
বিএসএস অনার্স (অর্থনীতি), ডাবল এমএ(হাদিস)
উস্তাদ, জামিয়া কুরআনিয়া সৈদুন্নেসা, কাজীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।