নেয়ামত উল্যাহ তারিফ: | ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
দীর্ঘ এক মাস সংযম ও ত্যাগের সাধনার পর প্রতীক্ষা ঈদের চাঁদের। আনন্দের আবহ নিয়ে দ্বারপ্রান্তে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঘরে ঘরে খুশির বার্তা পৌঁছে দিতে আসে ঈদুল ফিতর। বিশ্বের মুসলিম সমাজকে ঐক্যের পথে, কল্যাণের পথে, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে এই ঈদুল ফিতর। ইসলাম ধর্মমতে, ঈদ আসে এবাদত ও মানব কল্যাণের বার্তা নিয়ে। ঈদের আগে রমজান মাসটি হচ্ছে সংযম ও প্রশিক্ষণের মাস। ফিতরা প্রদান, জাকাত আদায় ও ঈদের নামাজের ভেতর দিয়ে এমন কিছু কাজ এবং আচরণ প্রদর্শন করতে হয়, যার প্রভাব পড়ে সারা জীবনে।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব ছায়েদুল হক ভুঁইয়া এই প্রসঙ্গে বলেন বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের জন্য রমজানের শিক্ষা অপরিহার্য। ঈদুল ফিতর আমাদের সেই বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষাই দেয়। তিনি আরো বলেন, সারাটি বছর জুড়ে আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকুক এটি আমার কামনা।
রফিকুন নবী ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিম মননে মাহে রমজানের এক মাস নফসের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করার পর বিজয় আনন্দ অনুভব নিয়ে আবির্ভূত হয়।
ঈদুল ফিতরের মূল তাৎপর্য বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. হালিম উল্যাহ বলেন, ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-পঙ্কিলতা মানুষের জীবনে কম-বেশি আসে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়। মাহে রমজানের আত্মশুদ্ধির শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ আসে সৎ পথে। সততার চর্চা যেন চলে ১২টি মাস জুড়ে, এই প্রত্যাশা করি এবং সকলের বোধে আসুক- সব মানুষ যে মর্যাদার দিক দিয়ে সমান। তিনি আরো বলেন, ধনীর সম্পদে দরিদ্রদের যে হক বা ন্যায্য অধিকার রয়েছে তা বাস্তবে পরিণত করার তাগিদ ঈদুল ফিতরে বারবার হৃদয়-মনে, সমাজ-সংসারে জাগ্রত হোক।