রিপোর্ট: কে.এম. সুহেল আহমদ,কাতার থেকেঃ | ২৫ মে ২০১৯ | ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ
আন্তর্জাতিক মুফাস্সিরে ক্বোরআন
আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন,
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম।
একমাত্র ইসলামের দ্বারা আল্লাহ সুবহানাতা’লা আমাদেরকে মালামাল করে দিয়েছেন।
ইসলামের প্রত্যেক শাখা- প্রশাখাকে আকঁড়ে ধরে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে রাখা আমাদের কর্তব্য।
নবী (সাঃ) ও সা’বায়ে কেরাম (রাঃ) গনদের পথ অনু্সরণের মধ্য দিয়েই উম্মতগণের হেদায়েতের রাস্তা খোলা রয়েছে।
তিনি ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) কাতার’র নিউ সানাইয়া তাবলীগী মারকাজের সাপ্তাহিক শবগুজারীতে বাদ আসর নসীহতপূর্ণ বয়ানে উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
মাওলানা হারুনুর রশিদের পরিচালনায়
তিনি আরো বলেন,
ইসলাম কামেল হয়েছে টিক কিন্তু আমরা মুসলিম হিসেবে কামেল হতে পারিনি।
ইসলামের মৌলিক কতগুলো বিষয়, যেমনঃ
ঈমানিয়াত,ইবাদাত,মু’য়ামেলাত, মু’য়াশারাত ও আখলাকিয়াত। এসব গুণগুলো যখন একজন মানুষের জীবনে ফিট হয়ে যায় তখন সে কামেল মুসলিম হিসেবে গন্য হয়, নতুবা নয়।
সেজন্য
আল্লাহ সুবহানাতা’লা ইরশাদ হচ্ছে-
‘তোমাদের আক্কিদা সহি কর।’
শুধু তাই নয়,
আল্লাহ সুবহানাতা’লা আম্বিয়ায়ে কেরাম(আঃ)গণদের মৌলিক একটি কাজের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন। সেই মৌলিক দায়িত্ব হচ্ছে যে, দাওয়াতে তাবলীগ।
যাতে করে এই দাওয়াতের মাধ্যমে দুনিয়ার সমস্থ পথভোলা মানুষ পরিপূর্ণভাবে আল্লাহওয়ালা হয়ে যায়। শুধু তাই নয়,
‘ইসলামের বিধি-বিধানের সাথে ইলমের ও গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।’
বান্দা যদি আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় তবে তাকে কিতাবুল্লাহ’র এলেম তথা আল্লাহ’র পবিত্র ক্বোরআন শরীফের এলেমে সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে।
এই ইলম হাসিল করতে হবে দরস ও তাদরিস তথা উস্তাদ এবং শাখরিদ দু’জনের সমন্বয়ে।
আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের একমাত্র অবলম্বনই হচ্ছে কিতাবুল্লাহ’র ইলম।
কিতাবুল্লাহ’র ইলম যদি কারো না থাকে তবে তাকে যেন অন্য ইলমওয়ালা সাথী ভাইয়ের কাছ থেকে অর্জন করতে হবে। সেই অনুযায়ী তাকে আল্লাহ সুবহানাতা’লার হুকুম ও তার প্রীয় হাবীব( সাঃ) তরীকায় মউত পর্যন্ত ইস্তেক্কামাত থাকতে হবে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জননন্দিত আলেম আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।
এছাড়া কাতারে বসবাসরত বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে, সমস্থ মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও কামিয়াবি কামনার্থে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।