মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ
যে দেশে নির্বাচন করাতো দূরের কথা রাজনীতি নিয়ে ই আলেম উলামা চিন্তা পর্যন্ত করতোনা আজ সেই দেশে ইসলামী শক্তি সমূহ রাজনৈতিক ময়দানে অগ্রভাগে স্থান করে নিয়েছে। ইসলামী শক্তিকে বাদ দিয়ে কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবেনা এই বাস্তবতা আজ দৃশ্যমান। এই উপলব্ধিটুকু সকল রাজনৈতিক দল গুলোর মাঝে প্রায়শই আতঙ্কজনক।
দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসলামী রাজনৈতিক দল সমূহ আজ রাজনীতিতে একটা বৃহৎ স্থান করে নিতে পেরেছে। যার কারণে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতে প্রায় ৫/৬ জন করে ইসলামী দল গুলোর যোগ্যতম প্রার্থীরা ই আসন্ন জাতীয়সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যারযার এলাকাতে কাজ করে যাচ্ছে।
কিছুকিছু এলাকাতে তো বৃহত্তম রাজনৈতিক দল গুলোর প্রার্থীদের জন্য প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ইসলামী রাজনৈতিক দল গুলোর প্রার্থীরা লাইমলাইটে।
এমনকি বৃহৎ দল গুলো তাদের নিজ দলের প্রার্থীদের বিবেচনায় ইসলামী প্রার্থীদের গুরুত্ব দিচ্ছে অনেকাংশে। যদি ও এই শক্তিকে দুর্বল করার হীন কোন প্রচেষ্টা নেই যা কেউ করেনা।
আজ ইসলামী শক্তির উত্থান সহ এইসবকিছু ই আমাদের পূর্বপুরুষদের মুজাহাদা আর চোখের পানির বিনিময়ে অর্জিত।
কিন্তু আজ আমরা নিজেদের শক্তিকে নিজেরা ই উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের আক্বাবির আসলাফ যারা উম্মতের ফিকির আর দরদ বুকে লালন করে দিনরাত মুজাহাদা করে গেছেন আর চোখেরজল ফেলে ইসলামী শক্তির উত্থানের জন্য বাংলাদেশের মাটির প্রতিটা ইঞ্চি আবাদ করে গেছেন তারা যদি একদিন আমাদের কাছে জবাব চায় তাহলে কি আমরা তাদের কাছে কোন জবাব দিতে পারবো?
রাজনীতি আর যুদ্ধ এই দুটো হল কৌশলের খেলা। যারা কৌশল বুঝে রাজনীতি করতে পারে তারা ই প্রকৃত রাজনীতিজ্ঞ।
ইসলামী রাজনীতি যারা করেন বিশেষকরে কওমি আলেম উলামার হাতে ও একটি বড় কৌশল ছিল। যদি তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারতো তাহলে আগামী দিনের রাষ্ট্রক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারতো।
যে আলেম যে কৌশলে ই এগুচ্ছেন সমস্ত কওমি পরিবারের উচিৎ ও দায়িত্ব ছিল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে নাকি বিএনপি ক্ষমতায় আসবে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে শুধুমাত্র কওমি আলেমদের বিজয় ছিনিয়ে আনার এক মহা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া।
একজন আলেম চাই সে বিএনপি থেকে হোক অথবা আরেকজন আওয়ামীলীগ থেকে হোক,বা কেউ সতন্ত্র হোক, মোটকথা হল কওমি আলেমদের সংসদে প্রেরণের এক মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা ছিল সময়ের দাবী।
ইসলামী রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতা কেন্দ্রিক নয়। কিন্তু আজ এমন অযোগ্য ও ইসলাম বিরুধীরা যেনতেন ভাবে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে যাচ্ছে যারা হয়তো ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার ও যোগ্যতা রাখেনা। অথচ ক্ষমতার শরীক হয়ে খুব দাপটে ইসলাম বিরুধী তাদের মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে নিরবে।
তাই এখন রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার হয়ে ঐসকল ব্যক্তিদের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পথকে রুদ্ধ করে দেওয়া ই সময়ের দাবী।
যে যেখান থেকে পারুক, যদি নির্বাচনে আসে তাহলে ঐ আলেমকে বিজয়ী করতে প্রয়োজন সম্মিলিত মাস্টারপ্ল্যান।
তাই আসুন, হে কওমি পরিবারের সদস্য বৃন্দ! হ্যা আপনাকে ই বলছি, আসুন না, আর কতো? হয়েছে অনেক, নিজেদের শক্তি নিজেরা ক্ষয় না করে নিজেদের শক্তির উপলব্ধি করি।বন্ধ করি নিজেদের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি। অসুবিধে কোথায়?
একটু ভাবুন, আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা আর বিএনপিকে ক্ষমতাসীন করার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেশের যেখানে ই হোক, যে দল থেকে ই হোক, যে মার্কা ই হোক ঐ গুলো চিন্তা না করে আমরা কি শুধুমাত্র কওমি পরিবারের সদস্যকে নির্বাচিত করা নিয়ে ভাবতে পারিনা?
#লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |