মাওলানা কাওসার আহমদ যাকারিয়া _মজলিশপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ২৪ অক্টোবর ২০২১ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
দেশ ও জনগণের কল্যাণে সুদ-ঘুষ, অশ্লীলতা, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করতে
সৎ ও যোগ্য আদর্শবান খোদাভিরু ব্যক্তির নেতৃত্বই পারে একটি সোনার বাংলাদেশ গড়তে।
বর্তমান যুগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার অন্যতম একটি মাধ্যম নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটদাতার সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গেই সম্পৃক্ত। জনগণের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আদর্শবান, সৎ ও খোদাভীরুর হাতে ক্ষমতা অর্পণ করার লক্ষ্যে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রত্যেক ভোটারের নৈতিক দায়িত্ব। ভোট বিশেষ একটি আমানত। ভোটের ব্যাপারটি শুধু পার্থিব নয়; পরকালেও এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। প্রার্থী সৎ, যোগ্য, আদর্শবান না হলেও তাকে ভোট দেওয়া আর তার ব্যাপারে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে সত্যায়ন করা একই কথা। কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভালো, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি প্রার্থী হলে তাকে ভোট না দিয়ে বিরত থাকা এবং অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা ধর্মীয় দৃষ্টিতেও গুরুতর অপরাধ। সৎ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সৎ ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে, নতুবা আমানতের খেয়ানত হবে। কারো ভোটের কারণে যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যান, এতে পরবর্তীকালে তিনি যা যা ভালো কাজ করবেন, তার সওয়াব ভোটদাতাও পাবেন। আর যদি কারো একটি ভোটের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কোনো পাপিষ্ঠের হাতে চলে যায়, তার কারণে ইসলাম হয় ভূলুণ্ঠিত, জনগণ অধিকার থেকে হয় বঞ্চিত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার কারণে পরকালে মহান আল্লাহর কাছে ভোটদাতাকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই এসব নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারের অংশগ্রহণ করা ইমানি দায়িত্ব।
ভোট সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। ভোট দেওয়া মানে সাক্ষ্য প্রদান ও সত্যায়ন করা। কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করা যে, তিনি সৎ ও যোগ্য। ইসলাম ও দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা এবং জনগণের অধিকার আদায়ে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত। প্রার্থী সম্পর্কে জানা-শোনার পরও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট বা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে নির্বাচিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যত অসৎ কর্মকান্ড সম্পাদন করবেন, সেই পাপের অংশে ভোটাররাও শরিক হবেন। পবিত্র কোরআন কারিমে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, যে লোক সৎকাজের জন্য কোনো সাক্ষ্য দেবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, সে তার পাপের একটি অংশ পাবে (সুরা নিসা : ৮৫)। কোরআনুল কারিমে আরো এরশাদ হয়েছে, হে ইমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো এবং ন্যায়সংগত সাক্ষ্যদান করো, তাতে তোমাদের নিজের কিংবা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তদাপিও (সুরা নিসা : ১৩৫)।
বাংলাদেশের আটষট্টি হাজার গ্রামেগন্জে সুদ ঘুষ দুর্নীতি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খোদাভীরু নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিতে হবে,
ভয়-ভীতি ও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে আলেম উলামা ও যুব সমাজকে সত্য ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক শান্তির সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে,
জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরুকরে ইউপি নির্বাচন পর্যন্ত প্রত্যেক সেক্টরে সৎ যোগ্য ও খোদাভিরু লোকের নেতৃত্ব প্রয়োজন। সৎ যোগ্য খোদাভিরু নেতার নেতৃত্বের মাধ্যমেই দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গঠন হবে।
সামনে ইউপি নির্বাচনে প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে সঠিক সত্য ইনসাফ দ্বীনদারী দের সমন্বয়ে ব্যাক্তি ইমেজ, আমানতদার,
সত্যবাদি, সমাজে ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে কাহারও পরওয়া করবেনা, এমন ব্যক্তি প্রার্থী হলে ভাল হয়।
রাঘববোয়াল গুলো সমাজটা গিলে ফেলতেছে। বর্তমানে বিচার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। অথচ এটা মৌলিক অধিকার ছিল।
কিন্তু চেহারা বা টাকা কিংবা গুষ্টি জুড়ে বিচার হয় বা হচ্ছে।
এটা পরিবর্তন করতে কঠিন থেকে কঠুর সেন্টিগ্রেড ভেঙে চুরমার করতে হবে।
আর এটা সৎ ও ন্যায় বিচারক এবং লোভ লালসা হীন ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে হলে ভাল প্রার্থীগুলো, চরম বিষাদ সময়েও বিজয়ী হতে পারবে, ইনশাআল্লাহ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |