মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান | ১৯ অক্টোবর ২০২১ | ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী (সা.) বলেন,
কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। (সুনানে আবু দাউদ)।
যদি কেউ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের উপর জুলুম করে কিয়ামতের দিন বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সাঃ) যেখানে আল্লাহর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হবেন সেখানে আজ কারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছে? তারা কোন নবীর অনুসরণ করছে?
প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম ও মুসলমানদের কেউ না।
তারা হচ্ছে কুচক্রী মহল। তারা একদিকে যেমন ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে কারো এজেন্ট হয়ে হয়ে কাজ করছে কিনা তা খুজে বের করা প্রয়োজন।
যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা কোনো ধর্মের ই অনুসরণকারী হতে পারে না।
সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের সম্মুখীন করা। যেনো ভবিষ্যতে কেউ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস দেখাতে না পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে এ নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে সত্যিকারের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে ঐক্যমত হওয়া।
উলামায়ে কেরামদের ও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ইসলামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে আহবান রয়েছে তা জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
কারো পাতা ফাদে পা দেওয়া যাবে না। সতর্ক থাকতে হবে।
আমাদের ইসলাম, আমাদের বাংলাদেশ দুটোকেই ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |