রিপোর্ট: এস. এম. অলিউল্লাহ খান, নবীনগর প্রতিনিধি। | ০১ মে ২০১৯ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ
আজ ১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাবাসীর চরম দুঃস্বপ্নের দিন। ২০০০ সালের এ দিনটিতে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দু’টি লঞ্চ মেঘনা নদীতে ডুবে উপজেলার দেড় শতাধিক যাত্রী প্রাণ হারান। এটাই ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে নবীনগরে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।
জানা যায়, ২০০০ সালের এদিনে নরসিংদী থেকে নবীনগরগামী এমভি বেঙ্গল বার্ড লঞ্চটি রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর এলাকা ও নবীনগর থেকে ভৈরবগামী এমভি ডলফিন লঞ্চটি আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এতে নবীনগর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সফিকুল ইসলামসহ দেড় শতাধিক যাত্রী প্রাণ হারান। অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই ঘূর্ণিঝড়ে অগণিত গবাদিপশুর মৃত্যু এবং দু’শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। উপজেলার স্বজনহারা পরিবারগুলো আজও সেই কালো দিনটির কথা ভুলতে পারেনি। এ দিনটিতে নিহতদের পরিবারগুলো মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
এ নৌরুটে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চের কারণে এ দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার কোনো ব্যবস্থা এ রুটের লঞ্চগুলোতে নেই। বর্ষাকাল শুরু হতে যাচ্ছে, চারদিকে কালবৈশাখী আঘাত হানছে, ফলে লঞ্চ ডুবির আশঙ্কায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন উপজেলার মানুষ। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফিটনেসবিহীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন উপকরণহীন এসব লঞ্চকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে এনে যাত্রীদের জীবন-মাল রক্ষার পদক্ষেপ নেবে।