রিপোর্ট অমিত হাসান অপু, স্টাফ রিপোর্টার: | ০১ মে ২০২০ | ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতারণা করে অর্থ আতসাতের অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। লকডাউন ভেঙ্গে ওই
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কাশেমকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ভোক্তভোগীরা।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মোগড়া বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টায় আখাউড়া-কসবা সড়কের মোগড়া এলাকায় মানববন্ধনের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রতারণার শিকার ক্ষতিগ্রস্তরা। শতাধিক ভোক্তভোগী মিছিল বের করে আখাউড়া-কসবা মূল সড়ক হয়ে মোগড়া বাজার মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক দরুইন গ্রামের বাসিন্দা কাজল খান, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট
ধনারচর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা শামসু মিয়া, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত করপোরাল এসএম ইসহাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট এলাকার বাসিন্দা বসু
মিয়া, মোগড়া ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুসা মিয়া সরদার।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা
আবুল কাশেম। সে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে আসার পর তার নিজ এলাকাসহ জেলার
বিভিন্ন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্যসহ সাধারণ মানুষকে চাকরি,ব্যবসা কিংবা বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু বছর বছর পেরিয়ে গেলেও কাউকে চাকরি, ব্যবসা কিংবা বিদেশ পাঠাননি
কাশেম।
ভোক্তভোগীরা জানান, পরবর্তীতে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদেরকে জেল
জুলুমসহ নানা অত্যাচার করে ওই সেনা কাশেম। তারা জানান, টাকা চাওয়ায় মাদক
মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকী দেয় কাশেম। প্রতারণার শিকার জাঙ্গাল গ্রামের জুলহাস মিয়া, গোকর্ণঘাটের বসু মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন,কাশেমের প্রতারণার লোভে পড়ে হালের গরু বিক্রয় করে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর
জন্য ২০১৪ সালে ৩লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু ছেলেকে বিদেশ পাঠাইনি।
টাকাও ফেরৎ দেয়নি। টাকা চাইলে সে মামলার ভয় দেখায়।
শামসু মিয়া চাকরি শেষে দুই দফায় ১৩লাখ টাকা কাশেমের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ব্যবসার জন্য। পরবর্তীতে সব টাকা আত্মসাত করে কাশেম। ওই টাকা ফেরৎ চাইলে
তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পুড়ে দেয়া হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে এসে
সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে শামস। হতাশায় ভোগে প্যারালাইসিস রোগী হয়ে ঘরে অনাহারে অর্ধহারে জীবন কাটছে এখন তার।
এলাকায় অভিযোগ উঠেছে, সে একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। কিন্তু
এলাকায় সেনাবাহিনীর অফিসার হিসাবে সবার কাছে তার পরিচয় তুলে ধরে পোষ্টার
করে সেনা কর্মকর্তা লিখে প্রচার করেন। সে একজন সৈনিক হয়ে উপজেলার মোগড়া
এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, শতশত
মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে নেয়া সেই অর্থে কাশেম প্রাসাধসম বাড়ি তৈরি
করে। আর ভোক্তভোগী মানুষরা ধোকে ধোকে মরে। তাকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেনাবাহিনীর
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আবুল কাশেম।
তিনি বলেন, যদি কেউ তার কাছে টাকা পাওনার
দলিল দেখাতে পারে তিনি তার টাকা পরিশোধ করবেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |