গাইবান্ধা প্রতিনিধি : | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ | ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ
গাইবান্ধার-৫ ও ৩ আসনে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের প্রার্থী এ্যাড. ফজলে রাব্বী
মিয়া ও ডা. ইউনুস আলী সরকারের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নেতাকর্মীদের ভুমিকায়দুই ওসির ফটোসেশনে তোলপাড় চলছে সর্বত্র। তারা হলেন, সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান ও পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি। এছাড়া সাঘাটা থানার ওসি মোস্তাফিজারের সাথেবোনারপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানও ফটোসেশনে অংশ নেয়।
দলীয় নেতাকর্মীর ভূমিকায় মনোনয়নপত্র হাত দিয়ে ফটোসেশনের এমন চিত্রগণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের এমন আচরণেজেলাজুড়েই নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বুধবার সাঘাটা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওনির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষের কাছে গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা)বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. ফজলেরাব্বী মিয়া মনোনয়নপত্র জমাদানকালে ফটোসেশনে অংশ নেন সাঘাটা থানার ওসিমোস্তাফিজার রহমান ও বোনারপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান।
এছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী অফিসার মেজবাউলহোসেনের কাছে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের ক্ষমতাসীন দলেরএমপি ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমার সময় ফটোসেশনে অংশ নেন
পলাশবাড়ী থানার ওসির হিপজুর আলম মুন্সি।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে পলাশবাড়ী থানার (ওসি) হিপজুর আলম বলেন, ‘দায়িত্বপালনের সময় নেতাকর্মীদের বারবার ডাকেই মনোনয়নপত্রে হাত দিয়েছেন। তবে এমন ছবিসারাদেশে অনেক হয়। এছাড়া ফটোসেশনের বিষয়টি কোন আচরণবিধি লঙ্ঘন নয় বলেও জানানতিনি’।
তবে এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানেরসঙ্গে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মনোনয়ন জমার সময় দলের প্রার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান,বিষয়টির তার নজরে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেন,কিন্তু হাত বাড়িয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। এনিয়ে তাদের সর্তক করাসহ জবাব দাখিলেরনির্দেশ দেয়া হয়েছে। সন্তোষজন জবাব না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।