| ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
বর্তমান বাংলাদেশে অন্ধভক্তের সংখ্যাটাই বেশী। কেউ তার দলের প্রতি অন্ধ, কেউ তার নেতার প্রতি, কেউ তার পীরের প্রতি। অার এভাবেই সরলমনা মানুষগুলো অন্ধভক্তির জালে অাটকে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
যতবড় অালেমই হোক না কেন, নিজের দলের বা মতের পক্ষে না হলেই, কখনও কখনও ফাসেক, দালাল, গাদ্দার বলে ফতোয়া দিয়ে নিজেদের মানুষগুলোকেই দূরে সড়িয়ে দিচ্ছে। অার মজলুম মানুষটি ফতোয়ার যন্ত্রনা নিয়েই একা একা চলতে শুরু করে।
অার মানুষের স্বভাব হলো একা একা হাটতে শুরু করলে, তার পেছনেও কিছু মানুষ চলতে থাকে। কালক্রমে তারও একটি দল তৈরী হয়, এবং সেও একটি দলের নেতা বা অামির বনে যায়। দিনে দিনে তারও হয়ে উঠে অনেকগুলো অন্ধভক্ত।
অার নেতা বা অামির সাহেব মূর্খ কিছু অন্ধভক্ত পেয়ে তিনি একজন বড় মুফতী বনে যায় এবং তিনিও তার বিপরীতে থাকা মানুষগুলোর বিরুদ্ধে ফতোয়া প্রসব শুরু করে। তার অন্ধভক্ত মানুষগুলো তার কথাকে কুরঅান সুন্নাহ থেকেও বেশী প্রাধান্য দিতে থাকে। কখনও কখনও তার ফতোয়াই যেন বাতিলের মহা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে থাকে।
ফেরক্বা ৭২ বলেন অার ৭৩ বলেন, এতোগুলো দল হওয়ার পেছনে একটাই কারণ, তা হচ্ছে যে কারো প্রতি নিজের মধ্যে অন্ধভক্তি জন্ম হয়ে যাওয়া। অার এজন্যেই রাসুল সাঃ বলে গেছেনঃ ভ্রষ্টতা থেকে বাচার জন্য কুরঅান অার সুন্নাহকে চলার পাথেয় বানাও।
জরুরী কথা হচ্ছে, কুরঅান সুন্নাহকে বুঝার জন্য যুগের মুহাক্কিক অালেমদের জামাতের পথ ও মতের উপর নিজেকে স্থির রাখতে হবে। কারন দুয়েকজন দিকভ্রান্থ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু জমহুর উলামায়ে কেরাম কখনও একসাথে দিকভ্রান্থ হবেন না।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |